দেশের পরিস্থিতি খুবই স্থিতিশীল,স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই স্থিতিশীল।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশের যেসব ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে সেখানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুনঃ newsallx.com
দেশের পরিস্থিতি খুবই স্থিতিশীল
বুধবার বিকেলে নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রুবেদ আমিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২ মার্চ দেশে সংক্রমণের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
১৫ মার্চ তা নেমে এসেছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশে। ৯ মার্চ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে।
অধ্যাপক রুবেদ আমিন বলেন, গত সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশের ওপরে বাড়েনি।
এটা ভাল খবর. করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এক সময়ে অসংখ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তা কমিয়ে আনা হয়েছে।
দেশে ১৫৯টি আরটিপিসিআর, ৫৬টি জিন বিশেষজ্ঞ এবং ৭২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবরেটরিতে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত সারা দেশে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৩টি পরীক্ষা করা হয়েছে।
দেশের পরিস্থিতি খুবই স্থিতিশীল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৬ মার্চ থেকে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪২ জন।
এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ১১২ জন। মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।
পুনরুদ্ধারের হার ৯৫ শতাংশের বেশি।
রুবেদ আমিন আরও জানান, দেশে ১৪ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর প্রায় ৬০ শতাংশের বয়সই ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি।
মানুষ করোনায় মারা গেছে
হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সহ, বা যাদের করোনভাইরাস এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হয়নি।
করোনায় মারা যাওয়া মানুষের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই টিকা পাননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৪৫ কোটি ৮৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৩ জন মারা গেছেন।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মৃত্যুর দিক থেকে শীর্ষ দেশ, যেখানে ২.৭ মিলিয়ন মানুষ করোনায় মারা গেছে।
ইউরোপে মারা গেছে ১.৯ মিলিয়নেরও বেশি।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭২ জন।