ঘরমুখো ক্লান্তিতে চোখের আরাম

ঘরমুখো ক্লান্তিতে চোখের আরাম, স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঈদ মিছিল। নানা ভোগান্তি

নিয়ে

রওনা হয়েছেন নিজ গ্রামে পৌঁছানোর পথে। তবে এই দুর্ভোগের মাঝেও যেন চোখ ধাঁধানো আগুন রঙের কৃষ্ণচূড়া শান্তির এক পাশ ঘুরিয়ে দিচ্ছে।

দক্ষিণের

মহাসড়কে গাছে গাছে ফুটে থাকা লাল টুকটুকে কালো মুকুট ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।দুর্ভোগ এড়াতে পরিবারের অন্য সদস্যদের

একটু

আগে থেকেই গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে শুরু করেছেন রাজধানীর শ্রমজীবী ​​মানুষ। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়কে ঢাকা থেকে যাত্রী পরিবহনের

যানজট বাড়তে শুরু করেছে।

আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃnewsallx.com

ঘরমুখো ক্লান্তিতে চোখের আরাম

ঝালকাঠি মহাসড়কে যাওয়ার পথে এসব চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া যে কোনো বাস যাত্রী ও পথচারীর মন কেড়ে নেয়। প্রকৃতির এই অপরূপ সাজে মহাসড়কের দু’পাশ রঙ্গিন করে তুলেছে। সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া গাছ। এমন মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির চিত্র নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের মনে একটু শান্তি এনে দেয়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে ঈদের মিছিলে মানুষ যখন হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক সেই সময়েই কৃষ্ণচূড়া পথিকের হৃদয়কে শান্ত করছে।বুধবার বিকেলে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাটি থেকে রাজাপুর অংশের বিভিন্ন স্থানে অপরূপ কৃষ্ণচূড়া দেখতে যান। বিকেলের নরম রোদে কৃষ্ণচূড়া দখিনা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে স্বস্তিতে।প্রতিবছর একটা সময় জেলেদের কর্মহীন থাকতে হয়। ফলে, পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্যে সময় পার করেন অধিকাংশ জেলে। কর্মহীন এসব জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের উৎস হিসেবে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে। নিবন্ধিত জেলেদের বিকল্প আয়বর্ধক হিসেবে ভেড়া পালনের জন্য ৮০টি পরিবারের মাঝে ১৬০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার

উপজেলা হেলিপ্যাড মাঠে ২০টি জেলে পরিবারের মাঝে ৪০টি ও সম্প্রতি ৬০টি পরিবারের মাঝে আরো ১২০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুলের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রিতম চৌধুরী, অফিস সহকারী নুরুল আমিন প্রমুখ।
ঢাকা থেকে ঝালকাঠির রাজাপুরে আসা আসিফ সাইদুর রহমান বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও পথের ক্লান্তি ভুলে যায় কৃষ্ণচূড়া। মহাসড়কের কৃষ্ণচূড়াগুলো এখন সৃষ্টি করেছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। যা দেখতে অনেক সুন্দর। গাড়িতে হাঁটতে হাঁটতে মনটা এক ধরনের ভালোবাসায় হারিয়ে যায়। ‘

ঘরমুখো ক্লান্তিতে চোখের আরাম

রাজাপুর বাঘারি বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা-উপজেলা শহর থেকেও অনেকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের ছবি তুলতে

আসেন। ফুলের কারণে অনেক পথচারী তাদের গাড়ি থামিয়ে ছবি ও ভিডিও তুলছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক যাত্রী যাতায়াতের ক্লান্তি থেকে

মুক্তি পেতে মহাসড়কের পাশে তাদের প্রাইভেট কার থামিয়ে সময় কাটান। এবারও একইভাবে রাজপথে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন

ঘরমুখো মানুষ। ‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *