দূষণে বিধ্বস্ত কুমিল্লার গোমতী নদী দখল

দূষণে বিধ্বস্ত কুমিল্লার গোমতী নদী দখল, কুমিল্লার দ্রুত প্রবাহিত গোমতী নদী এখন দখল ও দূষিত।

নদীতে কোথাও পানির ক্ষীণ স্রোত, কোথাও চর। নদী থেকে বালু উত্তোলন ও অবাধে মাটি কেটে পানি দূষিত করা হচ্ছে।

আরও খবর পেতে ভিজিট করুনঃ newsallx.com

দূষণে বিধ্বস্ত কুমিল্লার গোমতী নদী দখল

নদীর বাঁধের ভেতরের গাছ কাটার কারণে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।

মাটি ক্ষয়ের কারণে নদীর গতিপথও প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে।

এ অবস্থায় সোমবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নদী দিবস। প্রতি বছর ১৪ মার্চ পালিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় গোমতী নদীর তীরে সানরাইশ সালেহা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কটক বাজার থেকে দাউদকান্দি উপজেলার কলাতিয়া পর্যন্ত নদীটির দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার।

এর মধ্যে নগরীর চারপাশে সাড়ে চার কিলোমিটার এবং শহরের ভেতরে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারসহ মোট ১০ কিলোমিটার রয়েছে। ষাটের দশকে পাকিস্তান সরকার কুমিল্লা শহর রক্ষার জন্য একটি বাঁধ নির্মাণ করে।

ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে গোমতী নদী দুই ভাগ হয়ে যায়।

দূষণে বিধ্বস্ত কুমিল্লার গোমতী নদী দখল

শহরের ভেতরে রয়েছে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরনো গোমতী নদী।

বাঁধের কারণে এ অংশে সব সময় পানি থাকে। তবে মূল নদীতে পানির প্রবাহ কম।

রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, গোমতী নদীর তীরগুলো পলিতে প্লাবিত হয়েছে।

আলেখারচরে বালু উত্তোলনের জন্য নদীতে ড্রাম দিয়ে আড়াআড়িভাবে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হচ্ছে।

একই অবস্থা মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ সেতুর পূর্ব পাশের। ছেলেরা সেখানে নদীতে ফুটবল খেলছে। নদীর এপার থেকে অন্য পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে মানুষ।

ভারতের উজানে একটি নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কারণে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে পানি আসছে না বলে দাবি স্থানীয়দের।

যার কারণে নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত নদীতে পানির উচ্চতা খুবই কম থাকায় সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

পুরাতন গোমতী নদীর চানপুর এলাকায় নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। নদীর তীরে শত শত দখলদার।

নদীতে পানির উচ্চতা খুবই কম

কুমিল্লা পাউবোর পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নদী নিয়ে নতুন করে গবেষণা করা হচ্ছে।

পুরনো গোমতী নদীতে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা।

ভরাটের প্রয়োজনে নদী পাড়ের বাসিন্দারা এসব করছেন। আমরা তালিকা তৈরি করেছি।

কিন্তু দখলদার ও দূষণকারীরা এখনো আছে। ‘

বাপা কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর বলেন, দুই দশক ধরে রাজনৈতিক নেতারা গোমতী নদী গিলে খাচ্ছে। তারা নদীতে কিছুই রাখেনি।

বালু, মাটি, নদীর বাঁধ, গাছপালা, রাস্তা—সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়।

দখলদার ও দূষণকারীরা এখনো আছে

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,

গোমতী নদী থেকে মাটি কাটা চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক বলেন, ‘পুরানো গোমতী নদীর বেশির ভাগ এলাকা কুমিল্লা শহরে।

এতে পাঁচ ভাগে পাকা রাস্তা হয়েছে।

রাস্তা সরিয়ে সেখানে হাতিরঝিলের মতো উড়ন্ত সেতু নির্মাণ করব।

পুরো নদীর সৌন্দর্য বাড়াবো। আবর্জনা ফেলার জন্য রয়েছে ডাস্টবিন।

মানুষ সেখানে না ফেলে নদীতে ময়লা ফেলে। ‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *