শেরপুরে দুই ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে

শেরপুরে দুই ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, গুদা জেলার শেরপুর উপজেলায় গত এক সপ্তাহে দুই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে।

বুধবার রাতে পৃথক দুটি ঘটনায় ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

আরও খবর পেতে ভিজিট করুনঃ newsallx.com

শেরপুরে দুই ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে

একজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হলেও অন্য জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

শেরপুর থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অপহরণ মামলায় মুন্নাফ হোসেন (২০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।

অন্যান্য মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, ওই দুই শিক্ষার্থীর বাড়ি উপজেলার গারিদহ ইউনিয়নে।

তাদের একজন মাদ্রাসার ছাত্র, অন্যজন স্কুলছাত্রী।

বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মাদ্রাসা ছাত্র মুন্নাফ হোসেন তাকে অপহরণ করে।

আজ সকালে ছাত্রীকে উদ্ধারের পর মুন্নাফকে আটক করে পুলিশ।

শেরপুরে দুই ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে

গত শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।

ওইদিন স্কুলে যাওয়ার পথে মো. মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন (২৪)সহ চার-পাঁচজনের একদল যুবক তাকে অপহরণ করে।

স্কুলছাত্রীকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

শাহীনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের মামলাটি তদন্ত করছেন।

তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রকে নিয়ে গোপনে তার বাড়িতে আসেন মুন্নাফ।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।

স্কুলছাত্রীকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি

মেয়েটিকে উদ্ধার করে মুন্নাফকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে মুন্নাফকে বিকেল ৩টার দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদীর বাবা জানান, মুন্নাফ হোসেন তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

পরিবার রাজি না হওয়ায় মেয়েকে অপহরণ করে মুন্নাফ।

অপহরণ মামলার তদন্ত করছেন শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফ আহমেদ। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ড. শাহীনসহ পাঁচজনের নামে অপহরণ মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত মেয়েটিকে উদ্ধার করা যায়নি।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান তারা

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে উত্যক্ত করত। শাহীন।

গত শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শাহীন ও তার লোকজন জোর করে তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

এরপর শাহীনের অভিভাবকেরা মেয়েটিকে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ফেরত দেয়নি।

এ কারণে বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পুলিশের শরণাপন্ন হন তিনি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পৃথক দুটি অপহরণের ঘটনায় বুধবার রাতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

তাদের উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *