যাদের পাকা বাড়ি আছে তারাও পেয়েছে

যাদের পাকা বাড়ি আছে তারাও পেয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের খৈতারভুলা গ্রামের জজ মিয়া (৬০) পাঁচ সন্তানের জনক।

ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এক শিশু প্রতিবন্ধী। সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় বাড়ি পেতে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

আরও খবর পেতে ভিজিট করুনঃ newsallx.com

যাদের পাকা বাড়ি আছে তারাও পেয়েছে

ভিক্ষা করে জমানো টাকা থেকে খরচ বহন করেন তিনি।

উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বেহাকৈর গ্রামের আমেনা বেগমকে ঘরের জন্য দেড় লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে।

তার স্বামী মনির হোসেন কাঁচপুরে একটি কারখানায় জামদানি শাড়ি প্রস্তুতকারক।

এদের মধ্যে সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জুহুরা বেগম সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেন।

বাকি টাকা দুই হাজার ইট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী ক্রয় ও পরিবহন শ্রমিকদের পেছনে খরচ হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী অসহায় ও গৃহহীনদের বিনামূল্যে আশ্রয় দিতে হবে সরকারের।

তবে সোনারগাঁ উপজেলায় ১৪০ জন উপকারভোগী বাড়ি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বাড়ির সংখ্যা ১৯০টি।

এর মধ্যে ৫০টি নির্মাণাধীন। বাকি ১৪০টি ঘর দেড় থেকে দেড় বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ করে হস্তান্তর করা হয়েছে।

যাদের পাকা বাড়ি আছে তারাও পেয়েছে

১৪০ জনের মধ্যে ২৭ জন অভিযোগ করেন, কাঁচপুর ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য জুহুরা বেগম প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

প্রতিবেদক এই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত পৃথকভাবে ১৪০ টি ঘর পেয়েছেন এমন সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলেছেন।

তাদের মধ্যে ১৪০ জন বলেছিলেন যে তাদের বাড়ির জন্য সরকারী প্রদত্ত পণ্য পরিবহনের খরচ বহন করতে হবে।

উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী শরিফুল ইসলামের নির্দেশে তারা পরিবহন শ্রমিকদের এ টাকা দিয়েছেন।

আবার এসব পণ্যের পরিমাণ কম ও নিম্নমানের হওয়ায় নতুন ইট ও সিমেন্ট কিনতে হচ্ছে।

এই ১৪০ জনের মধ্যে ২৮ জন অভিযোগ করেছেন,

কাঁচপুর ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য জুহুরা বেগম প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

আতিকুল ইসলাম ১৪০টি ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তরের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপ-প্রধান (হাইড্রোলজিস্ট) হিসেবে কর্মরত আছেন।

 নতুন ইট ও সিমেন্ট কিনতে হচ্ছে

আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমার সময়ে নির্মিত বাড়িগুলোতে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি।

প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কেউ অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা জানি না।

আমি স্বচ্ছভাবে বাড়ি নির্মাণ করেছি এবং তাদের বুঝিয়েছি।

উপজেলার সানমন্দি ইউনিয়নের ইমানেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন পেশায় আচার বিক্রেতা।

তার স্ত্রী নাসিমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। এক বছর আগে নাসিমা বেগমের নামে একটি প্রকল্পের বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। নাসিমা জানান,

ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারী শরিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ শ্রমিকরা বাড়িটি নির্মাণের জন্য তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার মালামাল কিনেছিলেন।

ওই টাকা তিনি একটি এনজিও থেকে ধার করেছিলেন।

নাসিমা বেগমকে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি ১৫ দিন পরে এটি ভেঙে যায়।

তবে তিনি অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত নন

নাসিমা আরও জানান, ১৫ দিন বাড়িতে থাকার পর শরিফুল ইসলাম ইউএনও অফিসের কর্মচারীদের নিয়ে এসে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

পরে রাতেই ঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে লোকের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা ফেরত দেন শরিফুল।

ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারী শরিফুল ইসলাম বলেন, ভুল করে নিচু জমিতে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। তৎকালীন ইউএনওর নির্দেশে রাতে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়।

প্রকল্পের মাধ্যমে কাঁচপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বেহাকৈর, পূর্ব বেহাকৈর ও সেনপাড়া নামে তিনটি গ্রামে ২৬টি ঘর দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে বাড়ি পাওয়া ২৬ জনের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিবেদক। সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য জুহুরা আক্তার ইউএনও অফিসে অভিযোগ করেন, বাড়ি বরাদ্দের আগে তাকে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

এক বছর আগে বাড়িগুলো তৈরি হলেও সুবিধাভোগীরা এখনও সেখানে বসবাস শুরু করেননি।

এক বছর আগে বাড়িগুলো তৈরি হলেও সুবিধাভোগীরা এখনও সেখানে বসবাস শুরু করেননি।

রড, সিমেন্টও কম দেওয়া হয়

সম্প্রতি সোনারগাঁওয়ের  পশ্চিম বেহাকইর গ্রামের মৃত মান্নান মিয়ার স্ত্রী নুরুন নাহার (৬১) জানান, জুহুরা বেগমকে সরকারি বাড়ি করার জন্য ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।

এর বাইরে মোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একই গ্রামের সীমা আক্তার জানান, তিনি জহুরা বেগমকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছেন। সিমেন্ট, ইট-বালি ক্রয়,

নির্মাণ শ্রমিকদের খাবার, পরিবহন খরচসহ খরচ হয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জুহুরা বেগম বলেন, তার ওয়ার্ডে সাবেক ইউএনওর অধীনে ২৭টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি শুধু কাজগুলো তদারকি করেছেন। সরকারিভাবে বাড়িগুলোতে নিম্নমানের ইট দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পণ্য ক্রয়ের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হয়।

এ কারণে বাড়ি নির্মাণে খরচ হচ্ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *