পিটিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু দাফনে বাধা স্থানীয়দের, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় মিঠু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে তার ভাই পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুনঃ newsallx.com
পিটিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু দাফনে বাধা স্থানীয়দের
প্রতিবাদে স্থানীয়রা লাশ দাফনে বাধা দেয়। পরে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তবে ওই ব্যক্তির পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠু একজন মানসিক রোগী।
সে অবিবাহিত. মাঝে মাঝে সে তার ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করত।
গত রোববার বাড়িতে লাঞ্ছিত হলে তার বড় ভাই বাবু মিয়া প্রতিবাদ করেন।
এ সময় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিঠু। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পিটিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু দাফনে বাধা স্থানীয়দের
সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তিনি মারা যান।
নিহত মিঠু হারাগাছ পৌর এলাকার দালালহাট মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার সকালে তার লাশ দাফন করার কথা ছিল।
কিন্তু স্থানীয়রা বাধা দেয়। তাদের অভিযোগ, মিঠুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তবে মিঠু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিঠুর বড় ভাই বাবু মিয়া জানান, মিঠু মানসিকভাবে অসুস্থ।
সে আমাকে সারাক্ষণ গালাগালি করত।
মিঠু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন
এক পক্ষ তার ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
হারাগাছ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি।
সেখানে লাশ নিয়ে তর্কাতর্কি হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে পাঠায়। ময়নাতদন্তের জন্য কলেজ।
হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, মিঠুর মৃত্যু ও দাফন নিয়ে এলাকায় বিরোধ চলছিল।
ময়নাতদন্তের জন্য কলেজ
পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
লাশ দাফন করতে কোন বাধা নেই।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।