দুই ছেলেকে সরিয়ে প্রেমিককে বিয়ে

 দুই ছেলেকে সরিয়ে প্রেমিককে বিয়ে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রেমিককে বিয়ে করে নতুন সংসার পেতে দুই ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মা রিমা বেগম।

আরও খবর পেতে ভিজিট করুনঃ newsallx.com

দুই ছেলেকে সরিয়ে প্রেমিককে বিয়ে

নতুন জীবনের পথে বাধার কারণে দুই ছেলেকে মিষ্টি দিয়ে বিষ খাইয়ে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নাপা সিরাপ সেবন করে তাদের মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর কথা স্বীকার করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম আফরিন আহমেদের সামনে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

আজ দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

তার বক্তব্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ১২ বছর আগে পরিবারের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে রিমার বিয়ে হয়।

তাদের দুই ছেলে- ইয়াসিন খান (৬) ও মুরসালিন খান (৪)। ইসমাইল সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাতিঘর এলাকায় ইটভাটা শ্রমিকদের টিকিট ডিলার হিসেবে কাজ করতেন।

আর্থিক অনটনের কারণে রিমা স্থানীয় একটি ছাদে কাজ শুরু করেন।

দুই ছেলেকে সরিয়ে প্রেমিককে বিয়ে

সেখানে তিনি শ্রমিকদের প্রধান সফিউল্লাহর প্রেমে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রিমার দুই ছেলে। তারা দুই শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পুলিশ সুপার জানান, গত ১০ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে সফিউল্লাহ বাসায় এসে রিমাকে পাঁচটি মিষ্টি বিষ মেশানো খাবার দেন।

পরিকল্পনা মোতাবেক স্থানীয় মা বাচ্চাদের ঠাকুমাকে ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ আনতে পাঠান কারণ জ্বর এসেছে।

এ সময় রিমা তার বড় ছেলে ইয়াসিনকে তিনটি এবং ছোট ছেলে মুরসালিনকে দুটি মিষ্টি দেন।

বাচ্চাদের দাদি নাপা শরবত নিয়ে বাসায় এলে রিমা সেখান থেকে আধা চামচ করে দুই বাচ্চাকে খাওয়ান।

কিছুক্ষণ পর শিশু দুটির মুখ থেকে লালা বের হয়। পরে তাদের বমি শুরু হয়।

তাদের প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শিশু দুটির মুখ থেকে লালা বের হয়

সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে মুরসালিন ও রাত ১০টার দিকে ইয়াসিন মারা যান।

রিমার বক্তব্য তুলে ধরে পুলিশ সুপার বলেন, রিমার অন্ধ স্বামী ও দাম্পত্য জীবন ভালো ছিল না। সফিউল্লাহ তাকে সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখালে তিনিও তাতে সায় দেন।

পরে তারা দুই শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছিলাম।

ঘটনার পর থেকেই শিশুটির মায়েদের সন্দেহ হয়।

আমি তার মোবাইল ফোন থেকে কলের তালিকা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করি।

দুই শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা

ঘটনার দিন ঘটনাটি ঘটেছিল। , রিমা সফিউল্লাহর সাথে তার মোবাইল ফোনে ১৫ বার কথা বলেছে।

এ নিয়ে আমরা সন্দিহান।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিমা সব স্বীকার করে।

তিনি আজ সাক্ষ্য দেন যে সফিউল্লাহকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলা করেন।

মামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

পরে পুলিশ দুই সন্তানের জননী রিমা বেগমকে আটক করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *